- ইন্টারভিউ মেইল
- ইন্টারভিউর জন্য ডকুমেন্টস
- ভিসা ইন্টার্ভিউ
- পাসপোর্ট কালেকশন মেইল
- পাসপোর্ট কালেকশন
- ভিসা প্রাপ্তি
- শপিং
- ফ্লাই
পর্ব-০৫ এর পর থেকে...
এম্বাসি আপনার সকল ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই করে এই পর্বে আপনাকে ইন্টারভিউ ডেট দিবে।
সেই নির্দিষ্ট ডেট এবং সময়ে আপনাকে উপস্থিত হয়ে ইন্টারভিউ দিতে হবে।
(অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই এম্বাসির গেটে উপস্থিত হয়ে অপেক্ষমান থাকা বুদ্ধিমানের কাজ হবে)
জার্মান এম্বাসি বাংলাদেশ এর ঠিকানা :
11 Madani Avenue,
Baridhara Diplomatic Enclave,
Dhaka 1212,
Bangladesh
জার্মান এম্বাসি বাংলাদেশ এর লোকেশন ম্যাপ: Click here
ইন্টারভিউ ডেট পাওয়ার পর আপনার উচিৎ হবে প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস গুছিয়ে নেয়া।ডক সাবমিশনের সময় যে যে পেপারস দিয়েছেন সেই পেপারস গুলি ত অবশ্যই নিবেন সাথে সাপোর্টিং যত ডকুমেন্টস আছে নিয়ে যাবেন।
ইন্টারভিউতে যে সকল পেপারস নিয়ে যেতে হবে:
ORIGINAL CERTIFICATES
১- ব্যাচেলর সার্টিফিকেট + ট্রান্সক্রিপ্ট (মাস্টার্স সার্টিফিকেট + ট্রান্সক্রিপ্ট)
২- এইচ এস সি সার্টিফিকেট + ট্রান্সক্রিপ্ট
৩- আইএলটিএস সার্টিফিকেট
৪-বায়োমেট্রিক ছবি -মিনিমাম ৩ কপি নিয়ে যাবেন। ছবির সাইজ হবে (৩৫*৪৫)
বায়োমেট্রিক ফটো নিয়ে যারা বিস্তারিত জানতে চান তাদের জন্য অফিসিয়াল লিংক: Click here
বায়োমেট্রিক ফটো কোথায় তুলবেন: একটু ভালো মানের স্টুডিও যেখানে ভালো ল্যাব প্রিন্ট হয় এবং প্রতিনিয়ত ইউরোপে ভ্রমণের জন্য ছবি তুলে সেখান থেকে।
TWO SETS OF DOCUMENTS
২ সেট ডকুমেন্টস যেভাবে সাজাবেন:
আমি নিচে ১ কপি এর ভেতরে কি কি থাকবে সেটার লিস্ট দিচ্ছি :
১- ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম -১ কপি
২- পাসপোর্ট এর ফুল ডাটা পেইজ -১ কপি
৩ - অফার লেটার + মিডিয়াম অফ ইন্সট্রাকশন - ১ কপি
৪ - এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেটস সব গুলি -১ কপি করে
৫ - ব্যাচেলর সার্টিফিকেট + ট্রান্সক্রিপ্ট (+ মাস্টার্স সার্টিফিকেট + ট্রান্সক্রিপ্ট) -১ কপি করে
৬ - এইচ এসসি সার্টিফিকেট + ট্রান্সক্রিপ্ট- ১ কপি করে
৭ - লেটার অফ মোটিভেশন -১ কপি
৮ - সিভি --১ কপি
৯- আইএলটিএস সার্টিফিকেট -১ কপি
১০ -ব্লক কনফার্মেশন - ১ কপি
১১ -হেলথ ইন্সুরেন্স - ১ কপি
১২- ট্রাভেল ইন্সুরেন্স- ১ কপি
১৩ -ডিক্লেয়ার অফ কনসেন্ট (এইটা এম্বাসি ওয়েবসাইটে আছে )- ১ কপি
উপরের সব গুলি এরকম সাজিয়ে টোটাল ২ সেট প্রিন্ট করে নিয়ে যাবেন, সাদা কালো / কালার প্রিন্ট প্রব্লেম নাই, তবে কালার প্রিন্ট টাই বেশি ইউজ হয়।
SUPPORTING DOCUMENTS
এক্সট্রা কি কি নিয়ে যাবেন (সব গুলি কমপক্ষে ২ কপি) :
১- যদি জার্মানি এর ভার্সিটি তে আপনি অনলাইনে কোনো কোর্স পাস করেন এইটার ট্রান্সক্রিপ্ট।
২- এনরোল হওয়ার পর যদি কোনো ক্লাস / এক্সাম অফলাইনে হওয়ায় অংশগ্রহণ পারেন নি এইটার লেটার নিয়ে রাখবেন ভার্সিটি থেকে , সম্ভব হলে আপনি ভবিষ্যতে জার্মানি এসে কোর্স গুলো করতে পারবেন এইটার একটা লেটার নিয়ে রাখবেন ভার্সিটি থেকে ।
৩- আপনি যদি কোনো লেইট এরাইভাল / সেমিস্টার ডিফার এর লেটার পান এইটা নিবেন ।
৪- জার্মানি ইউনিভার্সিটির পোর্টাল এর আইডি পাসওয়ার্ড যদি পিডিএফ দেয়া থাকে আপনাকে এইটা প্রিন্ট করে নিবেন, পিডিএফ না দিলে এইটা হাতে কাগজে লিখে নিয়ে যাইয়েন ।
৫- আপনি যদি বাসা/ ডর্ম পেয়ে যান এইটার কনফার্মেশন (ডর্ম না পেলে এপ্লাই করার পর যে কনফার্মেশন মেইল আসে এইটা নিয়ে যাবেন স্ক্রিনশট দিয়ে প্রিন্ট করে) ।
৬ - যদি আপনি ফার্স্ট সেমিস্টার এর হন আর অনলাইনে ক্লাস করেন তাইলে ক্লাস করার একটা প্রুভ নিয়ে যেতে পারে , ধরেন ক্লাস এর মেইল / অথবা পোর্টালে লিখা এইটা অনলাইনে হচ্ছে এরকম ।
৭ - আপনি যদি ক্লাস না করেই সেলফ স্টাডি করতেসেন এমন কোনো সাবজেক্ট এর ক্ষেত্রে প্রফেসর এর মেইল স্ক্রিনশট নিয়ে যাবেন ।
৮-ব্যাচেলর যারা ২৫% শেষ করেছেন তারা আপনাদের দেশ এর ইউনিভার্সিটির ওয়েব পোর্টাল এর আইডি পাসওয়ার্ড নিয়ে যাবেন যাতে করে চেক করতে পারে, এটা না থাকলে মার্কশিট/ ট্রান্সক্রিপ্ট নিয়ে যাবেন মাস্ট ।
পাসপোর্ট কালেকশন মেইল:
এম্বাসি আপনার ভিসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আপনাকে এম্বাসি থেকে পাসপোর্ট কালেকশন করার জন্য পাসপোর্ট কালেকশন মেইল দিবে।
এটা ক্ষেত্র বিশেষে (১-থেকে ১০-২০-৩০-৪০-৫০ দিন লাগতে পারে) আপনি যে স্টেট এ যাচ্ছেন ওনাদের ভিসা প্রসেসিং এর উপর নির্ভর করে)
পাসপোর্ট কালেকশন:
এম্বাসি থেকে পাসপোর্ট কালেকশন মেইল পেলে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে পাসপোর্ট কালেকশন করতে হবে।
অত:পর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। অভিনন্দন। শুভ কামনা। আপনার বহুল কাঙ্ক্ষিত জার্মান স্টুডেন্ট ভিসা আপনি পেয়ে গিয়েছেন।
লাল সবুজের বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে প্রতিনিধিত্ব করার সবুজ সংকেত এখন আপনার হাতে।
এয়ার টিকিট:
আপনার সুবিধাজনক সময় বেঁছে নিয়ে আপনার পাসপোর্ট এ যেদিন থেকে ভিসা কার্যকর হবে তার পরবর্তী সময়কে কেন্দ্র করে আপনার পছন্দনীয় এয়ারলাইনস থেকে আপনি এয়ার টিকিট বুকিং ও পারচেজ করতে পারেন।
কয়েকটি এয়ারলাইনস এর লিংক:
কাতার এয়ারলাইন্স: Click here
টার্কিশ এয়ারলাইনস: Click here
শপিং:
আপনার ইচ্ছা, সামর্থ্য ও প্রয়োজন অনুযায়ী একটি শপিং লিস্ট তৈরী করে সে অনুযায়ী শপিং করে নিবেন।
এক্ষেত্রে আপনার এয়ারলাইনস কত কেজি এক টিকিট এর বিপরীতে বহন করার অনুমতি দেয় সেটা খেয়াল রাখবে।
ফ্লাই:
আপনার প্রিয় মানুষগুলি এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এক স্বপ্ন গন্তব্যে আপনার যাত্রা শুভ হোক। শুভ কামনা।